গোবিন্দগঞ্জ প্রতিনিধিঃ গোবিন্দগঞ্জে শাহ আলম নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ৭ম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে । এ ঘটনায় ধর্ষিতা ওই মেয়ের মা মর্জিনা বেগম বাদী হয়ে গত রোববার থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার গুমানীগঞ্জ ইউনিয়নের মদন তাইড় গ্রামের নবাব আলীর ছেলে শাহ আলম (২৬) গত ৬ থেকে ৭মাস আগে বিদেশ থেকে দেশের বাড়িতে আসে। শাহ আলম তার বাড়ীর পাশে নিজেদের পুকুরে মাছ চাষ করে আসছিল। পুকুরে মাছ চাষের সুবাদে পুকুরের পাশ্ববর্তী বাড়ীর জয়নাল আবেদীনের বাড়ীতে শাহ আলমের অবাধে যাতায়াত ছিল। এই সুযোগে জয়নাল আবেদীনের মেয়ে পারগয়ড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রীর সাথে শাহ আলমের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে শাহ আলম বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ওই মেয়েটির সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। এরপর গত বৃহস্পতিবার বিকেলে শাহ আলম মেয়েটিকে তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে শাহ আলম মেয়েটিকে আবারো ধর্ষণ করে। এ ঘটনা মেয়েটি তার মাকে জানানোর পর ঘটনাটি প্রকাশ হলে ধর্ষিতার পরিবারের লোকজন স্থানীয় ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলামকে ঘটনাটি জানিয়ে বিচার দাবী করে।
এদিকে, বিষয়টি সুরাহা করতে গ্রামের মাতব্বররা অভিযুক্ত শাহ আলমকে বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করলে সে মেয়েটিকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়।
ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে গত শনিবার একটি গ্রাম্য বৈঠকে মিমাংসার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু মেয়ের পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভাল না হওয়ায় শাহ আলম মেয়েটিকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে। বাধ্য হয়ে মেয়ের পরিবারের লোকজন গোবিন্দগঞ্জ থানায় আইনের আশ্রয় নেয়।
গোবিন্দগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আফজাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছ্।ে মেয়েটিকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং অভিযুক্ত ধর্ষককে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।